হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা

Sat, Mar 28, 2015 12:00 AM Admin

হারিয়ে যাওয়ার নেই মানা

খালেদুন রাতুল

পাহাড়ী ঢালের নয়নাভিরাম সৌন্দর্য, স্বর্ণমন্দিরের অলঙ্করণ, রাতের নীরবতায় সমুদ্রতটে বসে জলরাশির গর্জন, বিশাল সমুদ্রের অথৈ পানির মাঝে এক টুকরো ছেড়াদ্বীপ, নীল গিরি থেকে মেঘের সংস্পর্শ, চিম্বুক পাহাড় জয়- প্রকৃতির মাঝে হারিয়ে যেতে কার না লাগে ভাল! পুথিগত বিদ্যার বাইরে অজানাকে জানা, আনন্দ আর রোমাঞ্চে গা ভাসানোর লক্ষ্যেই আনন্দ ভ্রমণ। গত সপ্তাহে ৩ দিনব্যাপী শিক্ষা সফরের আয়োজন করে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সরকার ও রাজনীতি বিভাগ। প্রথম দিন বান্দরবান, ২য় দিন কক্সবাজার আর শেষ দিনে সেন্টমার্টিন চষে বেড়ায় ১২৮ শিক্ষার্থীর বিশাল বহর।

চলন্ত বাসের ভেতরে উদ্দাম নৃত্য, চান্দের গাড়ির ভেতর ঠাসাঠাসি বসে মেঘমালা ছোঁয়া, নির্ঘুম রাতে গানের আসরে মেতেছিল সবাই, অভিমত মটু শিমুলের। ৪৬ কিলোমিটার যাত্রা শেষে পৌছালাম সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ৩০০০ ফুট উচ্চতার নিলগিরিতে। দুর্গম পাহাড়ে সব রাস্তা ব্রিটিশদের তৈরি করে সম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে নীল গিরির পথে তথ্যটি জানান অধ্যাপক নাসিম আখতার হোসাইন। যেখানে আকাশের নীল, মেঘ আর সবুজ পাহাড় মিলে একাকার। মেঘ আর রোদের লুকোচুরি খেলা ছিল নজরকাড়া, মন্তব্য দেলওয়ার শিরনের।

শৈল প্রপাতে নামতে গিয়ে ভিজে নাস্তানাবুদ হয় শাইখ সিরাজ। বাংলার দার্জিলিং নীলাচলেও মজা জমেছিল বেশ। চুড়া থেকে পুরো বান্দরবান শহর ও নাফ নদীর অনিন্দ সৌন্দর্য যেখানে দৃশ্যমান। গোধূলীলগ্নে গিয়েছিলাম স্বর্ণ মন্দিরে। গভীর রাতে কক্সবাজার সৈকতের বিশাল ঢেউ আর হাড় কাঁপানো শীত উপেক্ষা করেই পানিতে নেমে পড়ে ফয়সাল শামীম, হাফিজ, হেলাল, মইনুল দ্যা পিচ্চি। টেকনাফ হয়ে সেন্টমার্টিনের পথে জাহাজের ডেকে কাউসার, মইনুল তারিফের তীর হারা এই ঢেউ এর সাগর পাড়ি দেব রে গানের তালে সুর মেলায় কামরুল হাসান ও ফরিদ স্যার।

অবশেষে নীল জলরাশি ঘেরা প্রবাল দ্বীপ সেন্টমার্টিনে। রাত যেখানে স্বপ্নপুরি। ফেরার পথে সুমুদ্রের চরে জাহাজ বেঁধে গেলেও আতঙ্কের চেয়ে আনন্দই হয়েছিল বেশ। পুরো সফর জুড়ে হাতুড়ে ডাক্তারখ্যাত সানাউল্লাহ মাহী নাস্তানাবুদ হয়েছে বেরসিক বমিতে। অরুপ দত্তের বাঁশির সংকেত আর আলোকুর রহমানের কৃৃত্রিম সাপ কারো কাছে ছিল আতঙ্কের। ক্যাম্পাস জীবনের শেষ ট্যুরটাও হয়ে গেল শেষ। ভাল সময়গুলো কেন যে দ্রুত ফুরিয়ে যায় প্রশ্নটা ভাইরাসখ্যাত নিপার।

Read on Newspaper: http://www.ittefaq.com.bd/print-edition/campus/2015/01/14/25729.html